দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি বাড়ায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকাড়িতে পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২ থেকে ৪টাকা করে। একদিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের পেয়াজ ২৫টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২১ টাকা থেকে ২৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেয়াজ পুর্বের মতোই ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় খুশি নিন্ম আয়ের মানুষসহ বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারগন।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় গত ৫মে থেকে হিলিসহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেয়াজের সরবরাহ কমে গিয়ে দাম অস্থিতিশীল হতে শুরু করলে গত ৩ ও ৪জুলাই আবারো ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর ফলে দুমাস বন্ধের পর ৫জুলাই থেকে হিলিসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি শুরু হয়। ওই দিন ২৯৯টন পেয়াজ আমদানি হলেও গতকাল বন্দর দিয়ে পুর্বের চেয়ে খানিকটা বেড়ে ৩২৩টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির সররবাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে শেষ দিনের মতো পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। এর পর ঈদের কারনে টানা ৮দিন বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকবে ঈদের পর ১৬ জুলাই শনিবার থেকে আবারো আমদানি শুরু হবে। ঈদের পর বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমানে পেয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশে পেয়াজের দাম যেমন বাড়বেনা তেমনি স্থিতিশীল থাকবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দীর্ঘদুই মাস বন্ধের পর গত ৫জুলাই মঙ্গলবার থেকে আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এদিন বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে ২৯৯টন পেয়াজ আমদানি হয়েছিল। গতকাল বুধবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ৩২৩টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচামাল দ্রæত পচনশীল পণ্য তাই কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া শেষে অতিদ্রæত আমদানিকারকরা যে পেয়াজ খালাস করে নিতে পারেন এজন্য বন্দর কর্তপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে রেখেছে।