কুমিল্লা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় গুরুতর অপরাধ বিবরনীতে জানানো হয়েছে, গত মার্চ মাসে কুমিল্লায় মোট ৫৬৬টি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এর মধ্যে খুনের ঘটনা ১০টি। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ১৬টি, ধর্ষণ ১১টি, রাহাজানি-দস্যুতা ৭টি এবং ৩টি ডাকাতির ঘটনা। মার্চ মাসে মাদকের মোট মামলার সংখ্যা ২৯০টি। এছাড়া ওই মাসে ১টি দোনলা পিস্তল, ১টি পাইপগান, ২টি কার্তুজ, ২ রাউন্ড গুলি ও ৭টি দেশীয় অস্ত্রসহ মোট ১৩টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সবগুলো অস্ত্রই উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুমিল্লা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে জেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আসন্ন পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন এবং অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে আলোচনায় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, পহেলা বৈশাখ রমজান মাসে হওয়ায় আমরা দিবসটি উদযাপন নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। কোন কুচক্রী মহল যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কুৎসা বা গুজব রটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটাতে পারে সেজন্য আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ অপ্রীতিকর ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। এজন্য যে কোন দুর্ঘটনায় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুব দ্রুত দায়িত্বশীল হতে হবে। যেন কেউ এসব ঘটনার নেতিবাচক ব্যবহার না করতে পারে।
সভার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, প্রতিটি উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে গ্রাম পুলিশ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার সাথে জড়িত সবাইকে সচেতন থাকতে হবে- যেন কেউ গুজব রটিয়ে লাভবান না হতে পারে।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৩ ও ১৪ এপ্রিল দুইদিন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্যের দিবস পহেল বৈশাখ পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল সকাল ৯টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।