রাবি শিক্ষার্থী রিক্তা আক্তারের লাশ কুষ্টিয়া কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর কবর স্থানে শনিবার রাত ১১ টার সময় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে রাত ৮ টার সময় রিক্তা লাশ নিজ বাড়িতে পৌঁছাতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় রিক্তার স্বামী আবদুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বিকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
রিক্তার বাবা লিয়াকত আলী বলেন, দুই বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইদহে জেলার হরিণাকুন্ড উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের আবদুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বি সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুবাদে মেয়ে জামাই দুজন ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার রাতে আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে রাব্বি। আমার মেয়ের হত্যার সঠিক বিচার চাই। এই ঘটনায় রাজশাহী মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করছি।
কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে রিক্তা আক্তার (২১) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ধরমপুর পূর্বপাড়া ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিক্তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় রিক্তার স্বামী আবদুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বিকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এই ঘটনায় রিক্তার বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিক্তার পরিবার কে আইনি সহযোগিতা করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।