তেল,গ্যাস,বিদ্যুৎ,পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় তিতাস উপজেলা বিএনপি ৩০ আগস্ট বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। কিন্তু আওয়ামীলীগের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারে বিএনপি।
গতকাল সন্ধ্যা থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় মিটিং করে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে শোক র্যালি ও প্রতিবাদ সমাবেশর কর্মসূচী গ্রহণ করে।
সকালের দিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: আক্তারুজ্জামান, তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন মোল্লা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি ভূইয়ার নেতৃত্বে তিতাস উপজেলা বিএনপি কড়িকান্দি বাজারে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের বাঁধার মূখে পালিয়ে যায়।
লাঠিসোটা নিয়ে আ'লীগ তাদেরকে ধাওয়া করলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
আ'লীগের কর্মীদের আঘাতে কলাকান্দি ইউনিয়নের আফজালকান্দিতে বিএনপির কর্মী কাউছার গুরুগত আহত ও আরও ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদা কর্মসূচী পালন করে। কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরীর গ্রুপে নেতৃত্বে কড়িকান্দি বাজারে অবস্থান নেন তিতাস উপজেলা আ'লীগের সহ সভাপতি মুন্সি মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মো: নাছির উদ্দিন, শেখ ফরিদ প্রধান, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার হোসেন বাবু, সাইফুল আলম মুরাদের নেতৃত্বে আ'লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,
শ্রমিকলীগ, তাঁতীলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদও মহিলা আ'লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: পারভেজ হোসেন সরকারের নেতৃত্বে কড়িকান্দি ও বাতাকান্দি বাজারে মিছিল করেন তিতাস উপজেলা আ'লীগের সভাপতি মো: শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসীন ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহম্মেদ ফকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মো: নূর নবী, সামসুল হক চেয়ারম্যান ও আলী আশরাফ চেয়ারম্যানসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুব মহিলালীগ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করতে না পারলেও কলাকান্দি ইউনিয়ন, জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন, নারান্দিয়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপি কর্মসূচী পালন করেছে। তিতাস থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ তৎপর দেখা গেছে। বিএনপি ও আ'লীগের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীকে ঘিরে সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সাধারণ মানুষ ছিল উৎকণ্ঠিত। বিএনপি'র বিক্ষোভ মিছিলে সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মারুফ হোসেন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা আসেন নি।