সীমান্তে পতিত জমিতে তিল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। আগে যেখানে বছরে দু'বার ধান চাষ হতো। এখন সেসব জমিতে পুরো বছরজুড়ে ধানের সাথে তিলও চাষ হচ্ছে। কম বিনিয়োগে তিল চাষে অধিক মুনাফা পাচ্ছেন কৃষকরা। এসব কারণে এখন তিল চাষে স্বপ্ন দেখছেন ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা।
সোমবার বিকেলে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাহাড়পুর এলাকায় মৌসুমি পতিত জমিতে আবাদ উপযোগী বিনা তিল-২ এর চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন ও সম্প্রাসরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট কুমিল্লার উপকেন্দ্রের আয়োজিত মাঠ দিবসে কৃষকরা তিল চাষে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.ফাহমিনা ইয়াসমিন, বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার মোসা. আফরিণা আক্তার,বুড়িচং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ জুয়েল সরকার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলায় মেঘনা, হোমনা, দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলায় তিল চাষ হচ্ছে। তবে চলতি বছর বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী ২২ বিঘা জমিতে তিল চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ার কারণে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন তিল চাষে।