নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদকের চালান দেখে ফেলায় তুহিন নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় পলাতক তিন আসামী বাবা ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। গত শুক্রবার রাতে চাঁদপুরের সদরের রঘুনাথপুর ভাঙ্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার মোস্তফা (৫৫) ও তার দুই ছেলে রনি (২০) ও আল আমিন (২৫)।
শনিবার ( ১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব উল্লেখ করে, গত ২৪ আগস্ট সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর এলাকায় কিশোর তুহিনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ মনির বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাদকের চালান দেখে ফেলায় পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে তার ছেলে ভিকটিম তুহিনকে হত্যা করা হয় মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত তুহিন মিয়া সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের মনিরহোসেনের ছেলে। সে ঝাউচর এলাকায় তার মামা নুরুল হুদার কাছে থেকে তার আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করত। একই এলাকায় পার্শ্ববর্তী হিরাঝিল হোটেলে গ্রেফতারকৃত রনি এবং আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। তারা গত ২২ আগস্ট ফেনসিডিলের কার্টুন হোটেলের পাশের কক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম তুহিন তা দেখে ফেলে এবং ওই ঘটনাটি পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে বলে জানায়। বিষয়টি আসামীরা জানতে পারলে তারা ভিকটিম তুহিনকে এলোপাথারী মারধর করে এবং মাদকের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট ভিকটিম রাতের খাবার খেয়ে দোকানে ঘুমাতে যায় ও পরদিন ২৪ আগস্ট দোকান খোলার পর তুহিনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহ পাওয়ার পর থেকেই আসামীরা তাদের হোটেল বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তাদেরকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।