সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের দুটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে রয়েছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ধীরগতির জাহাজটি নির্ধারিত সময়ের দুদিন পর ২২ এপ্রিল গন্তব্যে পৌঁছাবে।
২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের ২১ জনই জাহাজে অবস্থান করে চট্টগ্রামে ফিরতে চান। বাকি দুজন দুবাই থেকে দেশে ফিরবেন।
৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূলের জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। এর এক মাস দুইদিন পর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে কয়লা খালাসের জন্য যাচ্ছে গন্তব্যে।
মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জাহাজের গতিবিধি।
এসআর শিপিং টেকনিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট প্রকৌশলী মেরাজ আহমদ জাহেদি বলেন, “জাহাজ অলরেডি মুভমেন্টে আছে। এখান থেকে আরব আমিরাতের দিকে যাবে।”
২৩ জন নাবিকের ২১ জন মালিক পক্ষকে জানিয়েছেন, জাহাজ নিয়েই তারা দেশে ফিরতে চান।
এসআর শিপিং সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম বলেন, “কালকে যে আমার জাহাজ ধরা পড়বেনা তার কোনো গ্যারান্টি নাই। আবার ধরতে পারে তারা।”
সোমালিয়া এলাকায় জাহাজ চালিয়েছেন এমন একজন সাবেক ক্যাপ্টেন জানালেন তার অভিজ্ঞতা।
ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বলেন, “সোমালিয়া জলদস্যুদের এই বর্ডার দিয়ে বেশ কয়েকবার পাস করি এবং একেকবার তারা আমাদেরকে চেজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সুবিধা করতে পারেনি।”
কেএসআরএম গ্রুপ শিপ ব্রেকিং, রড, সিমেন্ট ও জাহাজ ব্যবসায় বছরে লেনদেন করে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র : একুশে টেলিভিশন
এফআর/অননিউজ