নীলফামারীতে ধর্ষন মামলার আসামীকে বাঁচাতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রত্যয়ন পত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক এর বিরুদ্ধে।
সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর বয়েত পাড়া গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রুবাইয়া খাতুন (১৭) কিশোরীকে ধর্ষনের দায়ে কারাগারে আটক আসামী একই গ্রামের মৃত: বিশ্বাদু মামুদ এর ছেলে মোঃ আব্দুল মান্নান (৬৫)। তাকে জামিনে ছাড়াতে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া প্রত্যয়ন পত্র দেন বাঙ্গালীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী মোঃ আব্দুল মান্নানকে নির্দোশ প্রমাণ করে মূল ঘটনা আরাল করতে চাইছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক। এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হুসাইন বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন মেয়ের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম। তিনি অভিযোগে বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ আনুমানিক বিকাল ৩টার সময় আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে রুবাইয়া খাতুনকে ডাবুর বাঁশ বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। যার মামলা নং- নাশিনী ১৭৫/২০২২।
এ বিষয়ে বাঙ্গালীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক বলেন, আমি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছি, মোঃ আব্দুল মান্নান ২৪ ফেব্রুয়ারী আমার স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীতে উপস্থিত ছিলেন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা এই মর্মে প্রত্যয়ন দিয়েছি। তবে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতেস্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হক নিজেকে বাঁচাতে ১০ মার্চ ২০২২ স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীতে মোঃ আব্দুল মান্নানকে উপস্থিত দেখিয়ে নতুন করে আবার প্রত্যয়ন পত্র তৈরী করেন। প্রধান শিক্ষকের এসব কর্মকান্ডে এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহেনা ইয়াসমিন জানান, তিনি কেন প্রত্যয়ন পত্র দিলেন, কি কারণে দিলেন এ বিষয়ে আমি বলতে পারবো না। এটা প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব ব্যাপার।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হুসাইন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।