সুদানে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭০ জন নিহত হয়েছেন। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গত ১৫ এপ্রিল থেকে লড়াই শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী কমান্ডাররা। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই ফের সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন দুই বাহিনী।
এদিকে টানা কয়েকদিনের এই সংঘাতে দেশটিতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিশেষ করে দেশটির রাজধানী খার্তুমে বাইরে থেকে খাদ্যপণ্য ঢোকা কঠিন হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থাও একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় শহরটি থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে যাচ্ছেন। গাড়িতে করে, পায়ে হেঁটে যেভাবে পারছেন খার্তুম ত্যাগ করছেন। আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) পক্ষ থেকে বুধবার (২০ এপ্রিল) নতুন করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও এখনও রাজধানীজুড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুদানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার প্রতি অনুগত সামরিক ইউনিটগুলোর সঙ্গে লড়াই চলছে আরএসএফের, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সুদানের উপনেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো। দাগালো বলেছেন, তার সৈন্যরা সব সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। অপরদিকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীগুলো বলছে, তারা আধা-সামরিক বাহিনীকে (আরএসএফ) ধ্বংস না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের আপোস করবে না। অথচ, ২০১৯ সালে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তারা দুজন একসঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ফরহাদ/অননিউজ