ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার হোগলাকান্দী গ্রামে রাতের আধারে পুলিশ, প্রবাসী সহ একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রায় ৭ থেকে ৮ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় চোরেরা।
২৭( আগস্ট) শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের হোগলাকান্দী গ্রামে রাতের আধারে পুলিশ প্রবাসী সহ একাধিক বাড়ি তে ঘটে এই চুরির ঘটনা। এ সময় সর্বমোট ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় চোরেরা।
সকালে ঘটনার জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেরসৃষ্টি হয়। এছাড়া একদিনে একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনায় চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন এলকাবসী।
এই বিষয়ে কাজী নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা ফ্যামিলি টিপে গতকাল রাতে কুয়াকাটা যাচ্ছিলাম যার কারনে আমাদের বাড়ি ফাঁকা ছিল এই সুযোগে চোর আসে আমাদের একটি স্মার্ট ফোন, প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেন।
মালোয়শীয়া প্রবাসী মঞ্জিল মোল্লা বলেন, আমি কিছু দিন আগে প্রবাস থেকে দেশে এসেছি। শশুড় বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম কিন্তু রাতের আধারে আমাদের গেট ভেঙ্গে ঘরে ঢোকে আমাদের প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নগদ একলক্ষাধিক টাকা, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য চুরি করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মূলত এই চোরেরা ফাঁকা বাড়ি টার্গেট করে এই চুরির প্লান সাজায়। এরপর তারা পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেট করা বাড়ি গুলো তে বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে এই চুরি করে। এছাড়া চুরির সময় পার্শবর্তী ঘরে থাকা মানুষদের ঘরের দরজা বাহির থেকেই লক করে দেয় এই চোরেরা।
এই বিষয়ে সাবেক কমিশনার মোঃ আব্বাস বলেন, হঠাৎ সকাল বেলা খবর পাই আমার এলাকায় একাধিক বাড়িতে চুরি হয়েছে। পরে দেখি চুরি হওয়া প্রতিটি বাড়ির লোক গতকাল দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন না। মূলত ফাঁকা বাড়ি গুলিকে কেন্দ্র করে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে চোরদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাই।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃজিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা পৌরসভার একটি বাড়িতে চুরির সংবাদ শুনে এখানে আসি পরবর্তীতে দেখি কয়েকটি বাড়ি তে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মূলত যেসব বাড়ি কেউ নেই কেউ বেড়াতে গেছে এমন সব বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। খুব দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনা হবে।