সরকারি পুকুর পাড়ের বাঁশঝাড় কেটে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত জায়গা ভরাটের কাজে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এনিয়ে এলাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ পৌরসভার কাদ্রা এলাকায় প্রায় দেড় একরের একটি ফসলি জমি ভরাট করেন। ওই জমিতে মাটি ভরাটের কাজে ব্যবহারের জন্য উত্তর নরপাটির একটি সরকারি পুকুর পাড়ের বাঁশঝাড় কেটে সীমানা বেস্টুনী নির্মাণ করছেন। এমন খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ করলে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁশঝাড় কাটায় বাধা প্রদান করেন। তবে এর আগেই কিছু সংখ্যক বাঁশঝাড় কেটে নিয়ে যায় ওই পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কবির আহমেদ। চেয়ারম্যান আলী আহমদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কবির মেম্বার লোকজন নিয়ে মানকার পুকুর নামে সরকারি ওই পুকুর পাড়ের বাঁশঝাড় কেটে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত জায়গায় সীমানা বেস্টুনি নির্মাণ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চেয়ারম্যানের জায়গা থেকে ওই বাঁশগুলো সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে প্রথমে ব্যর্থ হয় কবির মেম্বার এবং পরবর্তী কোন এক সময়ে সুযোগ বুঝে কিছু বাঁশ সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশিষ্ট কয়েকটি কাটা বাঁশ ঘটনাস্থলে থেকে যায়। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কবির মেম্বার বলেন, তিনি ৯টি বাঁশ কেটেছেন। ইউএনও এবং এসিল্যান্ড তাকে উপজেলায় ডেকে নিয়ে ভৎসনা করেছেন এবং তিনি ভুল শিকার করেছেন।
লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা প্রদান করেছেন এবং ১৫টি সরকারি বাঁশ কাটার প্রমাণ পেয়েছেন কিন্তু ঘটনাস্থলে ১৫টি বাঁশ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানুর রহমানকে অবহিত করেছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুঠোফোনে জানান, এখানে অল্প কিছু টাকার বাঁশ, আমি নিতে যাবো কেন। আমি কবির মেম্বারকে আমার ব্যক্তিগত জায়গার সীমানা বেস্টুনী দিতে বলেছিলাম। সে অতি উৎসাহি হয়ে এমন কাজ করতে পারে। আমি এলাকায় না থাকার কারণে প্রকৃত ঘটনা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শান্ত/অননিউজ