কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (সিসিডিএ)’র সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প (এসইপি) এর আওতায় বায়োফ্লক প্রকল্পের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ সেম্পটেম্বর রবিবার বিকেল ৩টায় তিতাস উপজেলাস্থ নারান্দিয়া গ্রামের মনির হোসেনের বায়োফ্লক খামারে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অতিথি ছিলেন ছিলেন ৬ নং নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য রোখসানা বেগম, তিতাস উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঠ কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন।
সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মাসুদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিসিডিএ'র আসমানিয়া শাখার কর্মসূচী কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন মোল্লা, উদ্যোক্তা বায়োফ্লক চাষী মোঃ মনির হোসেন, টেকনিক্যাল অফিসার (ফিশারিজ) কৃষিবিদ মোঃ লেমন মিয়া, পরিবেশ কর্মকর্তা মোঃ হাসিব ইকবাল কানন, ডকুমেন্টেশন অফিসার মোঃ নুরুন্নবী রাসেল সহ স্থানীয় মাছচাষীবৃন্দ ও এসইপি প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মাঠ দিবসে এসইপি প্রকল্পের প্রদর্শনী প্রাপ্ত এসইপি সদস্য মোঃ মনির হোসেন তাঁর বায়োফ্লক মাছচাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বলেন- ‘আমি করোনা মহামারিতে যখন দিশেহারা ছিলাম সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পরামর্শে বায়োফ্লক মাছ চাষ শুরু করে শুরুতে একটু সমস্যায় পরে গিয়েছিলাম, পরবর্তীতে সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্প আমাকে বায়োফ্লক মাছ চাষে প্রয়োজনীয় পোনা, যন্ত্রাংশ, মাছের খাবার, প্রোবায়োটিক, এফসিও ইত্যাদি সামগ্রী প্রদান করেছে। যা আমার আজকের এই সফলতা কে ত্বরান্বিত করেছে।’
তিতাস উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঠ কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন-‘আধুনিক মাছচাষ ব্যবস্থায় সিসিডিএ এসইপি প্রকল্প বিভিন্নভাবে প্রদর্শনী প্রদান ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে যেভাবে সহযোগিতা করছে মাছচাষীদের, এটি নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে। সরকারী বেসকরকারি পর্যায়ে এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে মৎস্যচাষে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।’
মাঠ দিবসে বায়োফ্লক মাছচাষী মোঃ মনির হোসেন শুরুতে ১০ হাজার লিটারের একটি ট্যাংকে তেলাপিয়া মাছ চাষ শুরু করেন, সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্পের প্রদর্শনী ও পরামর্শ’র পর ১টি ট্যাংকে এক সার্কেল উৎপাদনে তিনি মোট ৮ হাজার টাকা লাভ করতে পেরেছেন। তিনি এখন আরো ২টি সহ মোট ৩টি ট্যাংকে প্রায় ৯০ হাজার লিটার ট্যাংক বায়োফ্লকে মাছ চাষ করছেন।
মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের সাথে নিয়ে মনির হোসেনের বায়োফ্লক ট্যাংক থেকে মাছ আহরণ করে ওজন করে তা বিক্রয় করা হয়।
উল্লেখ্য বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার প্লাবনভূমি অঞ্চলের ও পুকুর ভিত্তিক মাছচাষীদের সার্বিক উন্নয়ন, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, মাছচাষের স্থায়ীত্ব প্রতিষ্ঠা ও তাঁদের আর্থিক ও কারিগরি বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (সিসিডিএ)’র এসইপি প্রকল্প। মাছ চাষে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে এসইপি প্রকল্প ডিফারেন্ট টেকনোলজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১৬টি প্রদর্শনী প্রদান করেছে। যাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।