দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলায় কনকনে শীত অনুভত হচ্ছে। শীতের কারনে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবি দিনমজুর মানুষ। শীতে সড়কে মানুষের চলাচল কমায় যাত্রী কমে যাওয়ায় আয় কমে বিপাকে পড়েছেন ভ্যান রিক্সা চালকরা।
হিলিতে গতকয়েকদিন ধরেই শীত অব্যাহত রয়েছে। তবে গতদুদিন ধরে দিনের বেলা সকাল সকাল সুর্য উঠলেও দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বেশী থাকলেও প্রচন্ড পরিমানে বাতাস বওয়ায় বাড়তি শীত অনুভুত হচ্ছে। তবে বিকেলের পর থেকে শীতের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে প্রচন্ড পরিমানে শীত অনুভুত হচ্ছে সেই সাথে বাতাস বইছে এতে করে বাজারঘাট ফাকা হয়ে যাচ্ছে।
শ্রমজীবি লিটন হোসেন বলেন, আমাদের হিলিতে প্রচন্ড পরিমানে ঠান্ডা পড়েছে আমরা বস্তা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করি কিন্তু প্রচন্ড পরিমানে ঠান্ডার কারনে কাজ করতে পারছিনা। ঠান্ডার কারনে আমাদের হাত পা কাপতিছে শিটকা লেগে যাচ্ছে। যার কারনে আমরা কাজ করতে পারছিনা বসে বসে আছি এখন চলবো কিভাবে আমাদের দিনপথ চলছেনা।
ভ্যান চালক আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড পরিমানে ঠান্ডা পড়েছে সাথে ঘনকুয়াশা ঝড়ছে তারপরেও ঠান্ডা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু বের হয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঠান্ডার কারনে মানুষজন বাড়ি থেকে তেমন বাহির হচ্ছেনা যার কারনে তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। যার কারনে আমাদের আয় রোজগার কমে যাওয়ায় খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এছাড়া শীতের মধ্যে ভ্যান চালানোর কারনে জ্বর শর্দী কাশি তো লেগেই আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দিনাজপুর এর ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ডিগ্রী সেলসিয়াস, মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি অ্যব্যাহত রয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ৯৪শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪/৫কিলোমিটার, বেলা বাড়ার সাথে সাথে এটি উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ৮/১০কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।