দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী হিলি রেলওয়ে স্টেশনে আন্ত:নগরসহ সকল ট্রেন থামানোর দাবীতে ও স্টেশনটির আধুনিকায়ন ও ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাগন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হাকিমপুর উপজেলা কমান্ডের আয়োজনে হিলি রেলওয়ে স্টেশনে রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন তারা। এতে হিলি রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন ও আন্ত:নগরসহ সকল ট্রেন থামানোর দাবী সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহন করেন। সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপক্ষো করে তাদের সাথে সাধারন মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
এতে বক্তারা বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সান্তাহার-পার্বতীপুর সেকশনের হিলি স্টেশন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপুর্ন স্থান যা বৃটিশ আমলে নির্মিত। হিলি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি স্থলবন্দর, সরকার প্রতিবছর ৩শ থেকে ৪শ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব পাচ্ছে এই বন্দর থেকে। এছাড়াও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য চিকিৎসাসহ নানা কাজে প্রতিদিন দুদেশের মাঝে ৫শতাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
কিন্তু হিলি রেলস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ১৩জোড়া ট্রেন চলাচল করলেও ১টি লোকাল ও দুটি আন্ত:নগর ট্রেনের মধ্যে ১টি রাজশাজী যাওয়ার সময় অপরটি রাজশাহী থেকে আসার সময় শুধুমাত্র থামে। এতে করে হিলি থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে যেমন সমস্যা পোহাতে হচ্ছে তেমনি বন্দরে আসা ব্যবসায়ী ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে আসা রোগী ও পর্যটকরা এই পথ ব্যবহার করতে পারছেননা। এতে করে চলাচলে চরম দুর্ভোগে সহ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। তারা আরো বলেন, আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তার ডাকে দেশকে ভালবেসে যুদ্ধ করেছি, দেশকে স্বাধীন করেছি।
এই স্বাধীন বাংলায় আমরা স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। তবে কেন দেশের মাঝে ভিন্ন নিয়ম, আমরা হিলিবাসী কেন অবহেলিত। তাই রেলস্টেশনটির আধুনিকায়ন ও আন্ত:নগরসহ সকল ট্রেনের স্টপেজ এর দাবী জানাচ্ছি। তা না হলে আগামীতে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবো। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া স্মারকলিপির অনুলিপি হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র ও হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী,সামছুল আলম, তোফাজ্জল হোসেন, জয়নাল আবেদিন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মোতালেব, আনছার আলী, আব্দুল জব্বার, সেলিম উদ্দিনসহ অনেকে।