দীর্ঘ এক যুগ পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ভোটাররা। এরই মধ্যে নায়ক থেকে মহানায়ক হয়ে গেছে ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হেদায়েত আলী শাহ।
নীলফামারী পৌরসভার সাথে সীমানা জটিলতার মামলা থাকায় দীর্ঘ একযুগ আটকে থাকে সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। মোঃ হেদায়েত আলী শাহ ফকির গ্রাম সিংদই কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং - ৪২৯৬/২০১৫ মামলাটির Rule Discharge হওয়ায় ২৯ ডিসেম্বর ৭ম ধাপে নির্বাচন কমিশন (০৭ফেব্রুয়ারি ২০২২) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এর পর আনন্দের জোয়ারে ভাসছে এই ইউনিয়নের নতুন ও পুরাতন ভোটারেরা।
দীর্ঘ ৬ বছর আইনি লড়াই শেষে মহামান্য হাইকোর্টের রায় নিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরে মোঃ হেদায়েত আলী শাহ বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি অনেক খুশি কারন ইটাখোলা ইউনিয়ন নীলফামারী পৌরসভার পাশাপাশি তার পরেও দীর্ঘ বছর ধরে কোন রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি হয়নি এমন কি কোন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ ভোটারদের চোখে পড়েনি। তাই নতুন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য আমি দীর্ঘ ৬বছরের বেশি সময় ধরে আইনি যুদ্ধ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনেছি, এখন ভোটের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচন করে ইউনিয়নের উন্নয়ন করাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।
এ বিষয়ে ৩ নং ওয়ার্ডের জাহেদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান বদলা বদলি না করলে এলাকার উন্নয়ন হয় না, ৪ নং ওয়ার্ডের আমজাদ আলী বলেন ভোট না হওয়ায় ১৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান আছে উন্নয়ন কুনঠে হইছে, কাইলো হামাক কাম করে ভাত খাবার নাগে আইজও হামাক কাম করি খাবার নাগে। সিংদই এলাকার আলতাব,জহুরা, নিলি,বিপিন, অশোক রায় বলেন সামনে ভোট তাই কিছু কিছু এলাকাত রাস্তাত মাটি দেয়ছে পুরাতন মেম্বারের ঘর। ৭ ফেব্রুয়ারি ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখা ২২ হাজার প্রায়।