জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুধবার (১০ আগস্ট) মাঠে নামার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০০তম ম্যাচ খেলবে। ক্রিকেট বিশ্বের দশম দল হিসেবে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে ৪০০ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পথ চলা শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর দল হেরেছিল ৭ উইকেটে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ৫০তম ম্যাচও খেলেছিল সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে খালেদ মাসুদের দল হেরেছিল ৮ উইকেটে। বাংলাদেশ শততম ওয়ানডে খেলে ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ঢাকায় প্রথমবার ভারতকে ১৫ রানে হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ১৫০ ও ২০০তম ম্যাচেও বাংলাদেশ জয় পায়। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে এবং ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হারায় বাংলাদেশ। তবে ২৫০ এবং ৩০০তম ম্যাচে জয় আসেনি। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের হারারেতে এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ৩৫০তম ম্যাচে আবার জয় পায় বাংলাদেশ। ঢাকায় তারা হারায় জিম্বাবুয়েকে। এবার ৪০০তম ম্যাচে প্রতিপক্ষও জিম্বাবুয়ে। ভেন্যু হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ। কি হবে এবার? সেই প্রশ্নই সবার সামনে।
সিরিজ শুরুর আগে সম্ভাব্য ফল ছিল ৩-০। এখনও সেই বাস্তবতা টিকে আছে। তবে বদলে গেছে দুই দলের অনুমিত অবস্থান। বাংলাদেশের জন্য যেটি ছিল সম্ভাবনা, সেটিই এখন রূপ নিয়েছে চরম শঙ্কায়। হোয়াইটওয়াশ করা নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মুখে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটি এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৪০০তম ম্যাচ। তবে মাইলফলক উদযাপনের উপলক্ষ নেই, বরং এই ম্যাচ দলের জন্য বিব্রতকর অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার লড়াই।
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্ম ১৯৭১ সালে। তারও ১৫ বছর পর ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম। এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। সময় গড়িয়ে এখন ২০২২। ক্রিকেটের সব অলিগলি পেরিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় এক নাম। যারা এখন ৪০০তম ওয়ানডে খেলার অপেক্ষায়।