প্রথম ম্যাচে মাত্র ২ রানে হার। ১৬০ করেও ২ রানে পরাজয়ের পর লঙ্কানরা শপথ নিয়েছিলো, পরের ম্যাচে আরো কঠিন লড়াই করতে হবে। তার ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে আর কোনো ভুল করেনি তারা। ২০৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তুলে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতকে ১৬ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
২০৭ রানের বিশাল টার্গেট। তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে অধিনায়ক-সহ চার ব্যাটার। প্রবল চাপের মুখে লড়াই করেও হার মানল হার্দিক পান্ডিয়ার ভারত। অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা।
'হারলেও সমস্যা নেই, কারণ চাপের মুখে খেলতে পারলেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করার অভিজ্ঞতা পাবে দল' - শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে এই কথাই বলেছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া।
দ্বিতীয় ম্যাচেই পাহাড়প্রমাণ চাপের মধ্যে পড়ল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই চার উইকেট হারায় মেন ইন ব্লু। অক্ষর প্যাটেলের চেষ্টা কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হাতছাড়া হল ভারতের।
বৃহস্পতিবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক হার্দিক। ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের রাস্তায় হাঁটেন লঙ্কা ব্যাটাররা। ৮০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন পাথুম নিশঙ্ক ও কুশল মেন্ডিস। এ সময় ভারতকে ম্যাচে ফেরান চাহাল। তার ডেলিভারিতেই ৫২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল। মাঝের ওভারগুলিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উপর চাপ তৈরি করেন উমরান মালিক। পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান জম্মু-কাশ্মীরের এই বোলার।
ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন। তবে শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। মাত্র ২২ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। অধিনায়কের ইনিংসে ভর করেই দু’শো পার করে শ্রীলঙ্কা বাহিনী।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন ইশান কিশাণ। একই ওভারের শেষ বলে ফিরতে হয় শুভমান গিলকেও। এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া রাহুল ত্রিপাঠিও নজর কাড়তে পারেননি। ৫ রান করেন তিনি।
পাওয়ার প্লের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইনিংসের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেল। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান ভারতীয় অলরাউণ্ডার। ৫১ রান করেন সূর্যকুমার যাদবও। শেষের দিকে ২৬ রানের দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস এল শিবাম মাভির ব্যাট থেকে। কিন্তু ১৯০তে থেমে যায় ভারত।