ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে খুদে টাইগ্রেসরা।
ক্রিকেটের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের পার্থক্য যোজন যোজন দূরত্ব। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার নারীরা বিশ্বের সব দলের বিপক্ষে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ জিতছে, সেখানে নিজেদের পায়ের তলার মাটি খুঁজতে ব্যস্ত বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশের নারীদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে কখনো, কোন পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার কোনো নারী দলকেই হারাতে পারেনি বাংলাদেশের নারীরা। সেখানে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের পালে নতুন হাওয়া দিবে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে আজ (১৪ জানুয়ারি) প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের মুখোমুখি হয়েছে টাইগ্রেসরা। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩০ রান করতে পারে অজিরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রীতিমতো দুই ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দিলারা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, দিশা বিশ্বাসরা। ম্যাচটিতে অজি নারী দলের বিপক্ষে ১৮ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে ফেলে টাইগ্রেসরা।
যদিও লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। মিস্টি সাহাকে প্রথম বলেই ফেরান রাইস ম্যাকেনা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৬ রান তুলে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশের নারী দল।
ব্যক্তিগত ৪০ রান করে দিলারা আক্তার ফিরলে ভাঙে জুটিটি। এরপর দ্রুতই ফেরেন ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশাও। তিনি করেন ২৪ রান। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন স্বর্ণা এবং সুমাইয়া আক্তার।
দুইজনই একশর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন। স্বর্ণা ১৮ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সুমাইয়া ২৫ বলে ৫টি চারে ৩১ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ক্লেয়ার মুরের ফিফটি এবং ইলা হাওয়ার্ডের মাঝারি ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৩০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ক্লেয়ার করেন ৫২ এবং ইলার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। টাইগ্রেস বোলারদের মধ্যে মারুফা আক্তার এবং অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস ২টি করে উইকেট শিকার করেন।