রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পীরগঞ্জ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের সকল কার্যক্রম অবশেষে স্থগিত করা হয়েছে। মাহমান্য হাইকোটের বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদের ও সাখাওয়াত আলী চৌধুরীর সমন্বিত ব্রেঞ্চ গত ১৭ অক্টোবর শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডলের পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মুনছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডলের বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ সদনে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আইন সেল বিভাগের যুগ্ন সচিব ও পরিচালক (ভোকেশনাল) মো: সালাহউদ্দিন আহাম্মদের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের একটি পত্রের মাধ্যমে বাগমারা থানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি হাইকোট পর্যন্ত গড়ায়। এই ঘটনার সূত্র ধরে কয়েকটি পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই বিষয়টিকে রং লাগিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডল জাল সনদে ১৮ বছর ধরে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এরপর বিষয়টি নজরে আসলে গত ১০ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম অপর একটি পত্রের মাধ্যমে গত ২২ আগস্ট ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দিয়ে যে পত্র দেওয়া হয়েছিলো তা স্থগিত করা হয়। অবশেষে মাহমান্য হাইকোটের এক আদেশেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডল বলেন, যুব উন্নয়ন সংস্থা থেকে ২০০৩ সালে অর্জিত সাচিবি বিদ্যার প্রশিক্ষণ সনদের ভিত্তিতে তিনি ২০০৫ সালে সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। এরপর ২০২০ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান এবং ২০২২ সালে ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্ত হন। অথচ জাল সনদে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অবশেষে মাহমান্য হাইকোটের আদেশে ফৌজদারি আইনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মন্ডল।