গাজার আল শিফা হাসপাতাল ৪ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৫ হাজার রোগীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওষুধ, খাবার ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রোগীদের বাঁচানো কঠিন হয়ে উঠছে।
জ্বালানির অভাবে গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহৎ হাসপাতাল আল-কুদস ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া জ্বালানির অভাবে সেখানকার শিশু ওয়ার্ডটিও বন্ধ হয়ে গেছে।
এবার আল-শিফাও বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই হাসপাতালের তিনজন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
হাসপাতালটির নিও-নেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে-এনআইসিইউতে ৪৫টি শিশু রয়েছে। যাদের মধ্যে শনিবার দুটি শিশু মারা গেছে। বাকিদের জীবনপ্রদীপও নিভু নিভু।
এদিকে ইসরায়েলের দাবি, গাজার হামাস যোদ্ধারা আল-শিফা হাসপাতালের নিচে এবং চারপাশে তাদের কমান্ড সেন্টার গঠন করেছে। তাই চিকিৎসক, রোগী ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার উদ্বাস্তুকে তারা সরে যেতে বলেছে। যাতে তারা সেখানে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারে। তবে হামাস যোদ্ধারা হাসপাতালটিকে এভাবে ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, অনেক রোগী আছেন যাদের সরিয়ে নিতে গেলে মারা পড়তে পারেন।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।
এফআর/অননিউজ