লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদেরকে উপকূলে নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে সর্বশেষ মারাত্মক নৌকাডুবির পরে উদ্ধার হওয়া ১৭ অভিবাসীকে সোমবার ইতালীয় কর্তৃপক্ষ উপকূলে নিয়ে এসেছে।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যম এএনএসএ জানিয়েছে, উদ্ধার করা অভিবাসীদের ইতালির সিসিলি দ্বীপের পোজালো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা সবাই মূলত বাংলাদেশের নাগরিক।
ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে লিবিয়া থেকে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামা অভিবাসীদের একটি নৌকা গত রোববার ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। নৌকাডুবির ওই ঘটনায় ভূমধ্যসাগরে ৩০ অভিবাসী ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে অবৈধপথে ইতালি যাওয়ার সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসীর প্রাণহানি হয়। সেই ঘটনার দুই সপ্তাহের বেশি কিছু সময় পর আবারও অভিবাসীবাহী নৌ দুর্ঘটনার খবর সামনে এলো।
রয়টার্স বলছে, অ্যালার্ম ফোন নামের একটি দাতব্য সংস্থা অভিবাসীদের দুর্দশার জন্য ইতালিকে দায়ী করেছে। সংস্থাটি বলছে, অভিবাসীবাহী ওই নৌকাটি সমস্যায় পড়েছে বলে শনিবার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ইতালি সেখানে তার কোস্টগার্ডকে পাঠায়নি।
তবে ইতালির উপকূলরক্ষীরা বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যাওয়ার এই ঘটনাটি ইতালীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকার (এসএআর) বাইরে ঘটেছে। এমনকি ইতলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, নৌকাডুবি এড়াতে রোম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান এক প্রবেশপথ। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রোজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২০ হাজার ৩৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।