নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার ধরেআর বাজার টি অবৈধ স্থাপনার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছে । ক্রেতা বিক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে 96 শতক জায়গা পুরোটাই দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা । একেকজন চারটি পাঁচটি করে দোকান ঘরের জায়গা দখল করলেও । একটি দোকান ঘর ব্যবহার করে বাকিগুলো বন্ধ রেখেছে । ফলের দখলকৃত বাজারের রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার ।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, মোঃ বিপ্লব হোসেন একটি গালামাল দোকান করলেও পজিশন নিয়ে বন্ধ করে রেখেছে ছয় টি দোকান ঘরের জায়গা । আনসার আলী চায়ের দোকান করলেও অপরিচ্ছন্ন করে একটি জায়গা দখল করে রেখেছে , শরীয়তউল্লাহ হাজী চারটি দোকান ঘরের জায়গায় গোডাউন করে রেখেছে, রহিম মিয়া গালামাল দোকান একটি করলেও তার দখলে রয়েছে পাঁচটি দোকান ঘর । আল-হেলাল গালামাল কাঁচামাল ও বয়লার বিক্রেতা তারও রয়েছে একাধিক পজিশন। বোরহান মিয়া দোকান না থাকলেও একটি বৃহৎ ভাঙ্গা ঘর অবৈধভাবে হাটে রেখে জায়গাটি দখল নিয়েছে । পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল তিনিও চেম্বারে পাশাপাশি একটি গোডাউনের জায়গা দখল করে রেখেছে। মোতাব্বির তিনি একাই সাতটি দোকান ঘরের জায়গা দখল করে রেখেছে কিন্তু দোকান করছেন একটি ।
স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অন্য কাউকে এই বাজারে ব্যবসা করতে না দেয়ার জন্যই তারা হাটের 96 শতক জায়গা বিভিন্ন ভাবে দখল করে বন্ধ করে রেখেছে । এলাকাবাসী এসব দখল উচ্ছেদ এ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছে । ধরে আর বাজার হাট ইজারাদার মোঃ স্বপন মিয়া জানান , এবছর আমি হাট বাজার টি ইজারা নিয়েছি ধরে আর বাজারে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ঢোকার ও বের হবার কোনো রাস্তা নেই অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র বসানো দোকান ঘর গুলো , এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকেরা এসে ব্যবসা করতে জায়গা পাচ্ছে না । হার্ট বাজার টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেগুলো সবগুলোই অগোছালোভাবে কারো না কারো দখলে রয়েছে ।
এ বিষয়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জানান ,দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হাট-বাজার টির অবৈধ স্থাপনা পরিষ্কার করা হয়নি এসব কারণেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ।