সিজার কিকে করা তার দ্বিতীয় গোলটি এই বিশ্বকাপের সেরা গোলের দাবিদার তো বটেই, ফিফা বর্ষসেরা গোলের পুসকাস ট্রফিরও দাবিদার হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্বকাপে উৎসবের আমেজে যতটুকু ঘাটতি ছিল সেটা পূর্ণ করলেন রিচার্লিসন। সার্বিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে জয় পাইয়ে দেয়ার পাশাপাশি অনন্য এক কীর্তিও গড়েছেন এ ফরোয়ার্ড।
২০১৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া গোল করলেন ব্রাজিলের কোনো খেলোয়াড়। সার্বিয়ার বিপক্ষে ৬২ ও ৭৩ মিনিটে গোল করে পুরো লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামকে উৎসবে মাতান রিচার্লিসন।
বিশেষ করে সিজার কিকে করা তার দ্বিতীয় গোলটি এই বিশ্বকাপের সেরা গোলের দাবিদার তো বটেই, ফিফা বর্ষসেরা গোলের পুসকাস ট্রফিরও দাবিদার হয়ে উঠতে পারে।
৬২ মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে লিড নেয়ার পর পুরো বিশ্বকাপ ব্রাজিলের কাছ থেকে যে জাদুকরী মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল, সেটি আসে মিনিট দশেক পর।
ভিনিসিয়াসের পাসে বক্সে বল পেয়ে অসাধারণ সিজার কিকে বল জালে জড়ান টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলা রিচার্লিসন। ম্যাচসেরার পুরস্কারের জন্য আর কোনো দাবিদার ছিল না ব্রাজিল দলে।
ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ অভিষেক হওয়া রিচার্লিসন ম্যাচে নিজের স্বাভাবিক পজিশনে খেলেননি। সাধারণত উইংয়ে খেলা এ তারকা জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলেছেন স্ট্রাইকার বা নম্বর নাইনের ভূমিকায়। নতুন ভূমিকাতেও সফল তিনি।
ম্যাচে ২৫ বার বলে টাচ করেছেন রিচার্লিসন। এর মধ্যে ৩টি ছিল গোলে শট। যার মধ্যে দুটিকে গোলে পরিণত করেছেন তিনি।
অথচ এই রিচার্লিসনই এভারটন থেকে সাড়ে ৫ কোটি ইউরোতে চলতি মৌসুমে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দেয়ার পর গোল খরায় ভুগেছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১০ ম্যাচ খেলে কোনো গোল পাননি। চ্যাম্পিয়নস লিগে অবশ্য মার্শেইয়ের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে জয় পাইয়ে দেন।
নিজের সামর্থ্যের নিদর্শন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই রাখলেন ২৫ বছর বয়সী এ তারকা। সেলেকাওদের হয়ে পরিবর্তিত পজিশনে নেমেও জয়ের নায়ক হয়ে থাকলেন।