বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৩.০৯ গুণ বেশি। প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটকে সংগঠনটি সম্প্রসারণশীল ও জনগণতান্ত্রিক বাজেট হিসেবে অভিহিত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ বিকল্প প্রস্তাব দেন সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত। সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
আগামী ১০ বছরে ছয়টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। সেগুলো হচ্ছে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত করা, বৈষম্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা, ধনিক শ্রেণির সম্পদ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বণ্টন, উন্নয়নে দেশজ অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব, মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত করার সুযোগ তৈরি ও মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
আবুল বারকাত আরও বলেন, এখন মানুষের দুঃখ–দুর্দশার মূল কারণ মূল্যস্ফীতি, মানুষ সঞ্চয় ভাঙছেন, ধারদেনা করে চলছেন। ভোগব্যয় কমিয়েছেন অনেকে, বিশেষ করে আমিষ খাওয়া বাদ দিয়েছেন অনেক মানুষ। ওষুধপত্র কেনার সামর্থ্যও হারাচ্ছেন অনেকে।
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি বলেন,সম্পদ করারোপ করে ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব। বৈষম্য কমাতে হলে সম্পদ করারোপ করতে হবে। সম্পদশালীদের কর কমানো হলে বৈষম্য কমে না। এ ছাড়া সমাজের কম আয়ের ৯০ শতাংশ মানুষের কর কমানো হলে তাদের কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ে। বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দা,কোভিড মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অনিশ্চিত-অভিঘাত হিসাবে নিলে আসন্ন বাজেটের আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা হওয়া বাঞ্জনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে অর্থনীতি সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস
এসকেডি/অননিউজ