অবশেষে প্রেমিক ও নিজের পরিবারের আত্মসম্মান বাঁচাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। প্রথমে বন্ধুত্ব দিয়েই পথ চলা শুরু। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। তারপর মনের সাথে মনের মিল, অবশেষে প্রেম। কিন্তু তাতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার।
কিন্তু এখানেই শেষনা, সম্পর্ককে পূর্ণতা দিতে ক্রমাগত প্রেমিকার ওপর চাপ দিতে থাকে তার প্রেমিক। মানুষিক চাপ সৃষ্টি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে ওই প্রেমিকের বিরুদ্ধে। একদিকে পরিবারের চাপ অন্যদিকে প্রেমিকের দেওয়া মানসিক কষ্ট আর নিতে পারছিল না কিশোরী। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বড়ঞা এলাকায়।
রোববার সন্ধ্যায় তার নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। বড়ঞা ব্লকের শ্রী হট্ট গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মুসকান খাতুন। পরে পরিবারের লোকজন তার দেহ উদ্ধার করে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
গত ২ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় ওই কিশোরীর। মৃত কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, তারপর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে যায় সে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে গত ছয় মাস আগে এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটানো হয়।
তারই জের ধরে অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরীর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। সে কারণেই ওই কিশোরী আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছে। মৃত কিশোরীর পরিবার এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24