ভরা মৌসুমে লোকসান হলেও ফুলকপি চাষে লাভের দেখা পাচ্ছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার কৃষকরা। অন্য ফসলের তুলনায় সময়য়ও কম লাগে। ফলে আগাম জাতের ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন এই উপজেলার কৃষকরা। এখন প্রায় বছরের পুরোটা সময় তারা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করছেন। অসময়ের ফুলকপিতে লাভ বেশি হওয়ায় চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় কৃষকরা এই আগাম জাতের এ ফুলকপি চাষ শুরু করেন বলে জানা যায়।
ভেড়ামারা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, খরিপ-২/ ২০২২-২৩ উৎপাদন বর্ষে উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজি আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১৭ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু ফুলকপির আবাদ ধরা হয়েছে ১০৫ হেক্টর।
কৃষক হাসান আলী বলেন, ধান-গম চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়। তাই ফুলকপি চাষ করছি। শীতকালে ফুলকপির ভরা মৌসুমে দাম একটু কম হয়। তবে অন্য সময়ে বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই আমরা সারা বছরই এখন ফুলকপি চাষ করছি। এ বছর দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করেছি। খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ২২-২৫ হাজার টাকা। বাজারে এখন যে দাম রয়েছে তাতে বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করি।
কৃষক মুনতাজ হোসেন বলেন, ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছি। এর আগে দেখা যেত শীতকালে জমিতে ফুলকপির চাষ হতো। সে সময় ভালো দাম পাওয়া যেত না। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমরা এখন সারা বছর ফুলকপির চাষ করি। এখানকার ফুলকপি ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এলাকায় যায়। এ ছাড়া স্থানীয় হাট-বাজার ও কুষ্টিয়া শহরেও বিক্রি হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফুলকপি আবাদ করে অনেকের ভাগ্যের চাকা বদলে গেছে, অনেকের পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। ফুলকপি চাষি খলিলুর রহমান সারাবছরই ফুলকপি চাষ করেন। এ বছর তিন বিঘা জমিতে ডন জাতের গ্রীস্মকালীন ফুল কপি আবাদ করেছেন।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, উপজেলার এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। চাষিরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে এবং সঠিক মার্কেট ধরতে পারায় বেশ লাভবান হচ্ছে। ফলে তারা ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com