আইরিশ উড়িয়ে দশ উইকেটে ম্যাচ জিতল টাইগাররা। হোয়াইটওয়াশ না হলেও এরমধ্যদিয়ে সিরিজ জয় হল বাংলাদেশ টিমের। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশকে পাঠায় ফিল্ডিংয়ে। তবে ফিল্ডিংয়েও ঝলক দেখায় টাইগাররা। তাসকিন-হাসান-এবাদত ঝড়ে একে একে উড়ে যায় আইরিশ উইকেট। হাসান মাহমুদ একাই উইকেট নেন পাঁচটি। যেকারণে ১০২ রানের টার্গেট দিয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে আইরিশদের। এদিকে ১০২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। মাত্র ১৩ ওভার এক বল খেলেই ১০২ রান করে ফেলে বাংলাদেশ।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ২টায়। বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। ইয়াসির রাব্বির পরিবর্তে দলে স্থান পান মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৬ রানে পর পর ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়ে আইরিশরা। পঞ্চম ওভার পেরিয়ে প্রথম উকেট পান হাসান। এরপর নবম ওভারে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন হাসান। এবার তার শিকার হ্যারি ট্যাক্টর। পরের ওভারে হাসানের সঙ্গে যোগদেন তাসকিন আহমেদ। অ্যান্ডি বার্লবির্নিকে ক্যাচ ইউট করেন তিনি। এভাবে মাত্র ২৬ রানেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারায় আইরিশরা।
এরপর ডানহাতি পেসার এবাদত টানা দুই বলে তুলে নিয়েছেন আইরিশদের ২ উইকেট। ১৯তম ওভারে লরকান টাকার (৩১ বলে ২৮) এবাদতের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে (০) দাঁড়ানোর আগেই বোল্ড করে দেন এবাদত। একে একে ধস নামে আইরশদের ব্যাটিং লাইনআপে। মাত্র ১০১ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলেন আইরিশরা। টস জিতে আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠানোর পর আয়ারল্যান্ড বুঝেছিলো, সম্ভবত আগে ব্যাট করলেই বেশি রান করা যায়। সে কারণেই তৃতীয় ম্যাচে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে সে আশায় গুড়ে বালি। একশ হওয়ার আগেই আট উইকেট হারিয়ে ফেলে আইরিশরা। এরপর টর্গেট রান ১০২ করতে নেমে খুব একটা সময় লাগেনি বাংলাদেশের। মাত্র ১৩ ওভার এক বলেই স্কোর ঠেকে ১০২ রানে।
শান্ত/অননিউজ