জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ঘুমন্ত ছাত্রীর ঘরে ঢুকে শহিদুল ইসলাম মন্ডল (৫৫) নামে প্রতিবেশী চাচা কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম মন্ডল (৫৫) আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের ভদ্রকালী দ্ল্লাপাড়া গ্রামের মৃত রজিব উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের ভদ্রকালী দল্লাপাড়ার বাসিন্দা সেলিম প্রামানিক গত ১৯ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৬ টা ৪৫ মিনিটে বাড়ি থেকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তার মুদিখানার দোকানে যায়। তখন তার মেয়ে বাড়ীতে তার ঘরে খাটের উপরে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিল। মেয়েটি বাড়ীতে একা থাকার সুযোগে প্রতিবেশী লম্পট শহিদুল ইসলাম মন্ডল ঘরে প্রবেশ করে মেয়েটির গায়ে থাকা লেপ টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার মুখ হাত দিয়ে চেপে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় মেয়েটি অনেক চেষ্টা করে তার মুখ থেকে লম্পট শহিদুল ইসলাম মন্ডলের হাত সরিয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশী রেজাউলের স্ত্রী আছিয়া (৪৫), মৃত আব্বাস আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ সুইট (৩৫) সহ আরো অনেকে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে লম্পট শহিদুল ইসলাম মন্ডল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি সুইট সেলিম প্রামানিকের মুদি দোকানে গিয়ে তাকে জানালে তারাতারি বাড়ীতে ফিরে মেয়ের কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করে তিনি বাদি হয়ে শহিদুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে আক্কেলপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তের ছেলে রায়হানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।
এদিকে এই লম্পট শহিদুল ইসলাম মন্ডলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ও এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটার পর গ্রামেই বিষয়টি স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষ মিমাংসার চেষ্টা করে যেকোন কারনে মিমাংসা না হলে কালক্ষেপন করার এক পর্যায়ে মেয়েটির বাবা গত ৬ জানুয়ারি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামি এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম মন্ডলকে গ্রেফতারের জন্য সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।