আজ ৬ ডিসেম্বর। পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রণাঙ্গন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মুক্ত দিবস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ রণাঙ্গনে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সালের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধের পর ভারত ত্রিপুরা সীমান্তঘেঁষা আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে (পাকিস্তানি হানাদার) শত্রুমুক্ত হয়। পরে আখাউড়া সড়কবাজার ডাকঘরের সামনে লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন পূর্বাঞ্চলীয় রণাঙ্গনের প্রধান জহুর আহাম্মদ চৌধুরীসহ মুক্তিযোদ্ধারা।
এ উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন, আখাউড়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটি নানা কর্মসূচির মধ্যে দিনটি পালন করবে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ৬টা ১ মিনিটে পৌর শহরের সড়ক বাজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়েছে। প্রদীপ প্রজ্বলনের সময় এক মিনিট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ। একই দিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে আনন্দ র্যালী ও শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আখাউড়া পোষ্ট অফিসের সামনে পতাকা উত্তোলন করা হবে।
১৯৭১ স্বাধীনতা সংগ্রামের ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সম্মিলিতভাবে আখাউড়া আক্রমণ করে। ৫ ডিসেম্বর দিন-রাত উপজেলার আজমপুর এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া শত্রুমুক্ত হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম এ রণাঙ্গনের আখাউড়া দুরুইন গ্রামের মাটিতেই বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধিস্থল।