বাংলাদেশে গেল ১৫ বছরের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার যে ধারা অব্যাহত আছে তার ওপর আস্থাশীল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহযোগিতা করতে চায় ইইউ। ব্রাসেলসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ইইউ পার্লামেন্টের সদস্য থমাস জেডিহস্কি জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্রেরই জয় হবে। মানবাধিকারকে যাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বক্তারা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরব পশ্চিমা বিশ্ব। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ‘ডেমোক্র্যাসি এন্ড হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই সেমিনার।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য থমাস জেডিহস্কি ও স্টাডি সার্কেল লন্ডনে যৌথ এ আয়োজনে বক্তারা একটি কৃষিপ্রধান দেশ থেকে শিল্পোন্নত দেশে রুপান্তরের পেছনে অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার বাঘ অ্যাখ্যা দেন বক্তারা।
জানান, বাংলাদেশের সাথে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আলোচনায় প্রাধান্য পায় নির্বাচন ইস্যু। থমাস জেডিহস্কি জানান, ৫০ বছরের পথচলায় স্বৈরাচারি সরকারের পতনের পর এখন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ইতিবাচক। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইইউ’র সন্তুষ্টির কথাও তুলে ধরেন তিনি। আগামী নির্বাচনেও গণতন্ত্রের জয় হবে বলেই বিশ্বাস জেডিহস্কির।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় সব মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। এ অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে কেউ যাতে এ ইস্যুকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক থাকতে বলেন তারা।
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার পথে ভুল তথ্য ও অপপ্রচার মোকাবেলাকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সত্যতা যাচাই, তদবিরের অর্থ ও উদ্দেশ্য তদন্ত করে দেখার তাগিদ দেন বক্তরা।
এফআর/অননিউজ