নীলফামারী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে ডিম কালোবাজারে বিক্রি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন জেলা ট্রেনিং অফিসার ডাক্তার মোঃ রাশিদুল হক।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সরকারিভাবে স্থানীয়দের মাঝে সপ্তাহে দুদিন (রবিবার ও বৃহস্পতিবার) প্রতি পিচ হাঁসের ডিম ৭ টাকা দরে বিক্রির কথা থাকলেও আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোঃ নুরুল আজিজ ও ট্রেনিং অফিসার ডাঃ মোঃ রাশিদুল ইসলাম স্বাক্ষর বিহীন চালান ইস্যু করে নওগাঁ জেলার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত (১১টাকা) দরে ৫ হাজার ডিম পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যাবার সময় পিকআপ ভ্যান সহ ডাঃ মোঃ রাশেদুল ইসলাম কে হাতে নাতে আটক করে। অফিসের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে নীলফামারী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ মোস্তফা জামান এলাকাবাসীকে শান্ত করে তাদের মাঝে ডিম বিক্রির ব্যবস্থা করে ট্রেনিং অফিসার কে উদ্ধার করে।
নীলফামারী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ মোস্তফা জামান জানান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে জেলা ট্রেনিং অফিসার রাশিদুল হক এই ডিম নওগার উদ্দেশ্যে পাঠানোর জন্য পিকআপ ভ্যান এ লোড করার সময় এলাকাবাসীর কাছে ধরা খাওয়ার পর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও জেলা ট্রেনিং অফিসার বিষয়টি অস্বীকার করে ।
আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের জেলা ট্রেনিং অফিসার ডাঃ রাশেদুল হক বলেছেন, ডিম কারা বিক্রি করছে এটা দেখতে আমাকে পাঠিয়ে ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ।
আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ নুরুল আজিজ স্বাক্ষর বিহীন চালান কাটার বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোনাক্কা আলী এ বিষয়ে কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি। তিনি বলেন সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ নূরুল আজিজ এর সাথে দেখা করেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কখন রাতের অন্ধকারে আবার নির্ধারিত দিনের আগের দিন বিকালে এই কয়েক ব্যক্তি ডিম কাল বাজারে বিক্রি করে দেয়।