আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পাঠ্যপুস্তক থেকে “ আদিবাসী শব্দ” সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

হলাপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ি।।

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্রের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী, ২০২৫) পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে মধুপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কলিন চাকমা লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যে তিনি এনসিটিবির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও তাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয় সংরক্ষণের জন্য মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে বিশদভাবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান এবং এনসিটিবির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

কলিন চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশে ৪৫টিরও অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে। বাঙালি জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি এদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। অথচ এনসিটিবির এহেন পদক্ষেপ আদিবাসীদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত এবং তাদের সাংস্কৃতিক পরিচিতি মুছে ফেলার প্রয়াস।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনভিপ্রেত।”

তিনি আদিবাসী শব্দ পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, “কোনো জাতিকে পিছিয়ে রেখে দেশের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”

আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে তাদের অধিকার নিশ্চিত না করলে রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তারা সরকারের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

এসময় সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক বিজয় চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি প্রীতি চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক লেলি চাকমা।

আরো দেখুনঃ