আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। আজ শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে।
এ ছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করতে অনুরোধ জানানো হয়। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন আহত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রবিবার এই কমিটি বৈঠক করবে এবং কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।
জুলাই থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা আন্দোলন পরবর্তীতে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। ১৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ১৬ জুলাই গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যু হলে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সেই থেকে গত ৫ অগাস্টে সরকার পতন এবং পরবর্তী সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে নেই।
তবে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহতদের অনেকেই এখনো বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24