আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ইন্তেকাল করেছেন। ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আবদুল বাসেত মজুমদারের ছেলে সাঈদ আহমেদ রাজা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তার বাবার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ অক্টোবর রোববার আবদুল বাসেত মজুমদারকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছিলো।
সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, উনার পেছনের মেরুদণ্ডের হাঁড়ের একটা ডিস্ক ডিসপ্লেসমেন্ট হয়ে যায়। প্রায় দুই-আড়াই মাস থেকে উনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। তারপর সর্বশেষ ১০-১২ দিন ধরে উনার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ছিল।
‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে খ্যাত আবদুল বাসেত মজুমদার আইন পেশায় ৫৬ বছর পার করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক। তিনি ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লার লাকসাম (বর্তমানে লালমাই) উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার, মা জোলেখা বিবি। স্থানীয় হরিচর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবীর বড় ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ব্যবসা করে। ছোট ছেলে সাঈদ আহমদ রাজা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা আক্তার লুনা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। সর্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছে। ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তার ঝুমা উত্তরা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ।।