লোকশানের কারনে পেয়াজের আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আবারো দুদিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫টাকা করে। এদিকে কয়েকদিন নিন্মমুখি থাকার পর আবারো দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বন্দর দিয়ে দুই জাতের পেয়াজ আমদানি হচ্ছে এর মধ্যে একটি হলো ইন্দোর জাতের ও অপরটি হলো নগর জাতের পেয়াজ। ইন্দোর জাতের পেয়াজ দুদিন আগে বন্দরে পাইকারীতে (ট্রাকসেল) প্রতি কেজি ২০থেকে ২২টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর নগর জাতের পেয়াজ আগের মতো একই দামে ৩০ থেকে ৩১টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, দুসপ্তাহ আগে যে পেয়াজের দাম ছিল তার চেয়ে এই সপ্তাহে পেয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫টাকা কমে গিয়েছিল পেয়াজের দাম কমে ২০ থেকে ২২টাকায় নেমে এসেছিল। এতে করে আমাদের যেমন পেয়াজ ক্রয় করে মোকামে পাঠানো সুবিধা হয়েছিল তেমনি সাধারন ক্রেতারা কম দামে পেয়াজ কিনতে পারছিলেন। কিন্তু আবারো পেয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দুদিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম ৩ থেকে ৫টাকা করে বেড়েছে এতে করে আমাদের পেয়াজ কিনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন হোসেন বলেন, গতসপ্তাহ থেকে হিলিসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি পুর্বের তুলনায় বেড়ে যায়। একইসাথে ভারতের পাশপাশি বার্মা থেকে প্রচুর পরিমান পেয়াজ আমদানি হচ্ছে এতে করে দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়ে যায় যার কারনে দাম কমতির দিকে ছিল। এর উপর ভারতীয় পেয়াজের তুলনায় বার্মার পেয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় ওই পেয়াজ বাজারে বেশী চলছে যার কারনে মোকামগুলোতে ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা অনেকটা কমে যায়। এতে করে পেয়াজ আমদানি করে আমদানিকারকদের লোকশান গুনতে হচ্ছিল যার কারনে পুর্বের তুলনায় পেয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এতে করে আবারো পণ্যটির কিছুটা সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে ভারতের বিভিন্ন মোকামে নতুন পেয়াজ উঠলেও সেটির মান খারাপের কারনে পুরাতন পেয়াজের দাম একটু বেড়েছে অপরদিকে দেশে পেয়াজের দাম কম যার কারনে পেয়াজ একটু কম আমদানি হচ্ছে। তবে আমাদের দেশে নতুন পাতা পেয়াজ ও মুড়িকাটা পেয়াজ উঠতে শুরু করেছে যার কারনে পেয়াজের দাম খুব একটা বাড়বেনা। তবে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যে নতুন পেয়াজ উঠছে এটির সরবরাহ ভালো হলে পেয়াজের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি দাম কমে ২০টাকায় নেমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে তবে আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। পুর্বে যেখানে বন্দর দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ট্রাক পেয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫ থেকে ২০ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৯ট্রাকে ৫৭২টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ যেহেতু দ্রুত বন্দরের কার্যক্রম সম্পুর্ন করে যেন পেয়াজ খালাস নিতে পারেন আমদানিকারকরা এজন্য বন্দর কতৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।