প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,আমরা দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকে যেনো কোনো মসৃণ জমিনের উপর দিয়ে চলছি না। প্রতিনিয়ত কিন্তু কিছু সমালোচনা হচ্ছে, অনাস্থার কথা বলছে, সংকটের কথা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম সম্পাদকদ নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন,আমরা মিডিয়ার গুরুত্ব বুঝে থাকি, আপনারও বুঝেন।কিন্তু আমার যারা মিডিয়া সব সময় দেখে থাকি আমরা সব সময় মিডিয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করে থাকি।অন্তত আমি।এবং এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এ দেশের রাজনীতিতে সমাজ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মিডিয়ার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নতুন করে নয় শতশত বর্ষ আগে থেকে।
তিনি বলেন,আমরা একটা ধারণা পত্র দিয়ে বলেছিলাম যে কি উদ্দেশ্য আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি যে আপনাদের যে অভিজ্ঞতা মিডিয়ার ক্ষেত্রে এবং দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে আপনারা অনুক্ষণ কাজকর্ম করে থাকেন গবেষণা করে থাকেন এবং স্টাডি করে থাকেন।
তিনি বলেন,এবং আপনাদের শিরোনামের মাধ্যমে দেশেী বিশিষ্টজনদের বক্তব্য উঠে আসে।যদি কোনো সংকট সৃষ্টি হয় সেই সংকট নিরসনেও আমরা খুব আন্তরিক পরামর্শ গুলো দেখতে পাই সেট অনেক সময় আমাদের আশ্বস্ত করে আমরা কেউ পছন্দ অথবা করি কেউ পছন্দ করি না।
সিইসি বলেন, আমরা ভূমিকা পত্রে বলেছিলাম আমরা মুলত জানতে চাইবো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর আগে একটু বলতে চাই আমরা দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকে যেনো কোনো মসৃণ জমিনের উপর দিয়ে চলছি না। প্রতিনিয়ত কিন্তু কিছু সমালোচনা হচ্ছে, অনাস্থার কথা বলছে, সংকটের কথা চলছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যেটা প্রত্যাশা আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করতে চাই আয়োজক হিসেবে সুন্দর ভাবে।সে জন্য রাজনৈতিক ভাবে অনুকূল পরিবেশের আবেদনটা প্রথম থেকে বহাল রেখেছি। এবং এক জায়গায় আমি বলেছি প্রত্যাশা প্রথম থেকে ছিলো এখন অবদি সেই প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশটুকু হয়ে উঠেনি।এটাকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা দু-একটা শব্দ ঢুকিয়ে ভিন্ন ভাবে প্রচার করেছে যেটা আমরা কমনা করি না।
তিনি বলেন,আমাদের বিষয়টা আন্তরিক, আমরা চাই রাজনৈতিক পরিবেশটা অনুকূল হয়ে উঠুক আমাদের আরাধ্যকর্মটা সহজ হোক।সেটা আমরা প্রত্যাশা করি।সেই জন্য আমরা নিরন্তন আহ্বান করে যাচ্ছি।
আপনারা জানেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা সংলাপ করেছি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একাধিক। যারা আসতে চান না তাদের প্রতি আমাদের বিনতি আবেদন ছিলো আপনারা আসেন এবং শেষ পর্যন্ত আমার পক্ষ থেকে আধা সরকারি পত্র দিয়ে সেই দলের প্রধানকে এবং সহমতি অন্যান্য যে দল গুলো আছে তাদেরকে আবেদন করেছিলাম অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আসেন, চা পান করতে আসেন। আমরা কিন্তু সাড়া পাইনি।এটা আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি।
তিনি বলেন,তাদের যে রাজনৈতিক কৌশল সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার সেখানে আমাদের বলার কোনো কিছু নেই।আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি,যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকতে পারে।সেটা রাজনৈতিক বিষয় নির্বাচন কমিশন ওর মধ্যে অনধিকার চর্চা করবে না।কিন্তু আমার নিরন্তন আহ্বান জানিয়ে যাবো আপনারা আসেন সমস্যা সমাধান হোক অথবা মাঠে বিরাজমান সংকট নিরসন করুন।
কর্মশালা সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ অংশ নিয়েছেন
এফআর/অননিউজ