বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৮টি হলুদ কার্ড প্রদর্শন! কল্পনা করা যায়? আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ড ম্যাচে এমনটাই ঘটেছে। মাঠে যে দৃশ্য দেখা গেছে তাতে বলা যায় ম্যাচটি ভেসে গেছে ‘হলুদ কার্ডের বন্যা’।
যদিও হলুদ কার্ড দিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন স্প্যানিশ রেফারি ম্যাথু লাহোজ। ভুল করেও লালকার্ড কাউকে দিয়ে ফেলেননি তিনি। হলুদ কার্ড পেয়েছন আর্জেন্টিনার ক্যাপ্টেন লিওনেল মেসিও। মেসি হলুদ পাওয়ায় যতটা না দর্শক অবাক হয়েছেন তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ও কোচিং স্টাফ ওয়াল্টার সামুয়েল।
বিশ্বকাপে কমবেশি বিতর্ক হয়, এটা স্বাভাবিক, তারপরও সমর্থকরা চায় সুন্দর এবং স্বচ্ছ খেলা দেখতে। কিন্তু আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচ যতটা না খারাপ হয়েছে, তার থেকেও বেশি খারাপ করেছেন স্প্যানিশ রেফারি ম্যাথু লাহোজ। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৮ হলুদ কার্ড দিয়ে রেকর্ড গড়লেন তিনি।
এর আগে তিনি ক্লাবের খেলায় লা লিগায় সর্বদা ম্যাচ পরিচালনা করার কারণে মেসির বেশ ভালো করেই চেনা আছে তাকে। এর আগে মেসিকে ম্যারাডোনার গোল উদযাপনের কারণে হলুদ কার্ড দিয়েছিলেন লাহোজ। এবার বিশ্বকাপের ম্যাচে মেসিদের পেয়ে যেন আবারও নিজের জাত চেনালেন।
আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস দুই দলের ফুটবলার এবং কোচকে সর্বমোট ১৮টি হলুদ কার্ড দেখান তিনি। তবে মূল খেলায় রেফারি মোট ১৫টি হলুদ কার্ড দেখান ফুটবলারদের। যার ভেতর আর্জেন্টিনার ৮ ফুটবলার পান ৮টি এবং নেদারল্যান্ডসের ৭ ফুটবলার পান ৭টি হলুদ কার্ড।
ম্যাচের মধ্যেই আর্জেন্টাইন কোচিং স্টাফের ওয়াল্টার সামুয়েল এবং কোচ স্কালোনিকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি। এছাড়াও পেনাল্টি শুটআউটের সময় ডামফ্রিস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন এবং নোয়া ল্যাংও হলুদ কার্ড দেখেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে রেফারি ১৬টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। যা এতদিন রেকর্ড হিসেবে ছিল কিন্তু আজকের ম্যাচের পর রেকর্ড নতুন করে লেখা হলো।