মেয়াদ শেষেও হয়নি হাওরের বাঁধ সংস্কার ও নতুন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অর্ধেক কাজও। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, গণশুনানির মাধ্যমে ফসলরক্ষা বাঁধ প্রকল্প গঠনের নীতিমালাও মানছে না পাউবো ও উপজেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৫২টি হাওর রয়েছে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায়। এসব হাওরের প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমির ফসল রক্ষায় ৭৪৮ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার, মেরামত ও নতুন বাঁধ নির্মাণে ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি প্রকল্পের অর্ধেক কাজও। কৃষকরা বলছেন, দ্রুত বাঁধ নির্মাণ শেষ না হলে এবারের বর্ষায়ও বন্যার পানিতে ডুববে স্বপ্নের ফসল।
স্থানীয়রা জানান, এই বাঁধটা যদি না হয় তাহলে হাওর টিকবে না এবং আমাদের গ্রামও টিকবে না। হাজার হাজার একর জমির এই হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কৃষকদের অভিযোগ, তাদের সম্পৃক্ত না করে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করছেন পাউবোর মাঠকর্মীরা। তারা বলেন, “পিআইসি যখন গঠন করে তখন আমাদেরকে অবহিত করেনি।”
তবে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক দাবি করে জেলা প্রশাসক ও পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতি হলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
সুনামগঞ্জ পাইবো নির্বাহী প্রকৌশলী-২ সামসুদ্দোহা বলেন, “আশা করছি, কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হবে না।”
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, “আমার জানা মতে, বিরোধপূর্ণ কোনো কারণে এখনও কাজ হয়নি এরকম অভিযোগ নেই।”
২০১৭ সালে পাউবোর কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের অনিয়ম-দুর্নীতিতে হাওরের ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হন পুরো জেলার কৃষকরা। পরে ঠিকাদারি প্রথার বদলে পিআইসি প্রথা চালু করে সরকার।
ফরহাদ/অননিউজ