মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় বাড়ানোই আসছে বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি ডলার ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে উৎপাদনমুখী কর্ম যাতে ব্যাহত না হয়, বাজেটে তারও সুস্পষ্ট পথ-নকশা থাকতে হবে বলছেন অর্থনীতিবিদরা। সবকিছু ঠিক থাকলে ১ জুন ঘোষণা করা হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট। এতে ঘাটতি থাকতে পারে আড়াই লাখ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে সাড়ে ৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতিকে ৬ শতাংশে বেধে রাখার পরিকল্পনা থাকবে নতুন বাজেটে।
মূল্যস্ফীতিকে এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেধে রাখাকেই নতুন বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি উদ্বেগের বিষয় ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগও। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫ অর্থবছর ধরে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানুষের আয়ের ক্ষেত্রগুলোর সুরক্ষায় গতি আনতে হবে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে। অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে হবে যাতে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ে। সেজন্য বিনিয়োগ দরকার। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে।” তবে ডলার ও জ্বালানি সংকটে বিনিয়োগ ব্যাহত ও মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি থাকলেও তা মোকাবেলায় বাজেটে থাকতে হবে পরিস্কার দিক-নির্দেশনা।
আসছে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষামাত্রা থাকছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যমান বাস্তবতায় এই বিপুল রাজস্ব আদায় কঠিন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর-প্রশাসন ও রাজস্ব কাঠামোয় সংস্কার জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কর-জিডিপি অনুপাত বা জিডিপির সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ রাজস্ব আহরণের কথাও বলছেন তারা।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “বিশেষ করে আয়কর বাড়ছেই না। পরোক্ষ ও আয়কর দুটো মিলে জাতীয় উৎপাদের মাত্র ৭.৭ শতাংশ সরকারের কাছে আসছে। যেটা আমাদের আশপাশের দেশে অনেক বেশি।” তবে করজাল সম্প্রসারণ ও নানা সংস্কারের মধ্যদিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হলে বাজেট-ব্যবস্থাপনাও সহজ হয়ে যাবে বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
এসকেডি/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com