সহকারি প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে পেতে আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা নয়। এবার নিয়োগ হবে ক্লাস্টার বা বিভাগভিত্তিক। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে সর্বোচ্চ ৬ মাসে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই আসছে নতুন বিজ্ঞপ্তি, নেওয়া হবে ৭ হাজার শিক্ষক। এ দফায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষক পাবে বরিশাল ও রংপুর বিভাগ।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬। শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৪ লাখ। প্রতি বছর অবসরে যান গড়ে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক। কিন্তু নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতায় সময়মত এসব শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হয় না। বাড়তে থাকে শিক্ষক ঘাটতি। কম শিক্ষক নিয়ে চলে অনেক প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম।
সবশেষ ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে অবসরে যান আরও অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক। পদ পূরণে সব মিলে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। যার বিপরীতে সারাদেশ থেকে ইতোমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৭ হাজার শিক্ষক। এসব দীর্ঘসূত্রিতার লাগাম টানার পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে এখন থেকে ক্লাস্টার বা বিভাগভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষকের স্বল্পতা অত্যধিক। যেই জায়গায় শিক্ষকের স্বল্পতা বেশি ওই জায়গায়গুলোকে চিহ্নিত করে ক্লাস্টারের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি তাহলে স্কুলে শিক্ষকের সংকট হবে না।”
যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক ঘাটতি থাকবে সেসব অঞ্চল চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার ৬ মাসের মধ্যেই শেষ হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগের সুবিধাটা হলো সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবো। তাতে প্রতিবছর যে ৬ হাজার শিক্ষক পিআরএলে চলে যান এই শূন্য পদগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণ করা সম্ভব হবে।”
বুয়েটের তত্ত্বাবধানে আগামী সপ্তাহে ৭ হাজার শূণ্য পদে ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব। সচিব জানান, বেশি খালি আছে রংপুর ও বরিশাল বিভাগে। এই দুটো নিয়ে আমরা একটা ক্লাস্টার করেছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিবো।”
শান্ত/অননিউজ