আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটকক্ষ বাড়ছে ৫৪ হাজার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কতটি থাকবে বুধবার (১৬ আগস্ট) তার খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন ধারণা করছে, এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ১১ কোটি ৯১ লাখেরও বেশি ভোটারের বিপরীতে সম্ভাব্য ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র লাগবে।
এদিকে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষ বাড়ছে ৫৪ হাজার। এতে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি। গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসব তথ্য জানান।
সচিব বলেন, সব থেকে বেশি ভোট কক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে কুমিল্লায় ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ, সব থেকে কম বেড়েছে ঢাকায় ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সচিব আরও বলেন, একাদশের ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৩৮০টির মত হতে পারে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্র বাড়ছে দুই হাজার ১৯৭টি। তবে ইসির চূড়ান্ত হিসেবে কিছু কম-বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইসির ১০টি অঞ্চলের মধ্যে এবার কুমিল্লা অঞ্চলে কেন্দ্র বাড়ছে বেশি। এ অঞ্চলে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঞ্চলে একাদশের ৪ হাজার ২৯৪টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৭৭৫টির মত কেন্দ্র। সব চেয়ে কম বাড়ছে সিলেট অঞ্চলে। সেখানে একাদশের দুই হাজার ৮০৫টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে দুই হাজার ৮৬৫ হচ্ছে।
সচিব বলেন, বুধবার প্রকাশিত খসড়া কেন্দ্রের ওপর দাবি-আপত্তির নেয়ার শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি ভোটকক্ষ ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি, তখন ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৭৮টি। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি এবং ভোটকক্ষ ছিল এক লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি।
এফআর/অননিউজ