ইউক্রেনে রুশ অভিযান ২২ দিনে গড়াল। এ যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাদের পাল্টা আঘাতে প্রায় ৭ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইউর্ক টাইমস।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহর রক্ষা করার জন্য সংখ্যা এবং যুদ্ধ-সম্ভারে প্রবলতর প্রতিপক্ষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মরণপণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের প্রতিরোধকারী সেনারা এ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ হাজার রুশ সেনাকে হত্যা করেছে। তবে রাশিয়ার দাবি, এই সংখ্যা ৪৯৮।
অবশ্য এর আগে গত ২ মার্চ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন, তার সেনারা ছয় দিনের যুদ্ধে ৬ হাজার রুশ সেনাকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সেই দাবির সমর্থনে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি তখন।
এদিকে, কিয়েভকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা। কিন্তু জায়গায় জায়গায় যেভাবে ইউক্রেনীয় সেনা এবং সাধারণ নাগরিকের যৌথবাহিনী নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছে, তাতে রাজধানী শহরের ভেতরে ঢুকতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে রুশ সেনাদের।
এরই মধ্যে বুধবার হেগস্থ আন্তর্জাতিক আদালত অবিলম্বে ইউক্রেনে সেনা অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মস্কোকে। এমনকি, গত ২৪ ডিসেম্বর ইউক্রেনের সেনা অভিযান শুরুর ২১ দিন পরে বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রকাশ্যে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কার্যত সেই দাবিতেই সায় দিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে, বেআইনিভাবে ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালিয়েছে ক্রেমলিন।