রাশিয়ার আগ্রাসনের মাত্র এক বছরের মধ্যে ইউক্রেনের পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের জন্য ৪১১ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক বুধবার একথা বলেছে।
ইউক্রেনের সরকার, বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় কমিশন এবং জাতিসংঘের যৌথ মূল্যায়নে সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আনুমানিক পূনর্গঠন ব্যয় ৩৪৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ মূল্যায়নে আশা করা হয়, ২০২৩ সালে জরুরি এবং অগ্রাধিকারমূলক পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধার কাজে বিনিয়োগের জন্য কিয়েভের ১৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
মূল্যায়ন অনুসারে, এই চাহিদাগুলো পূরণের জন্য ইউক্রেনের সরকার ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের বাজেটের বাইরে আরো ১১ বিলিয়ন অর্থায়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়েছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শমিগাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ অবকাঠামো, আবাসন, জরুরি অবকাঠামো, অর্থনীতি এবং মানবিক বিপর্যয় এই বছরের জন্য আমাদের পাঁচটি অগ্রাধিকার। তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে পুনঃনির্মাণের কিছু অংশ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু শ্যামিগাল সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘বর্তমানে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন তাতে দখলকৃত অঞ্চলের অবকাঠামো, আবাসন এবং ব্যবসার ক্ষতির তথ্য অন্তর্ভুক্ত নয়।’
কিন্তু ৪১১ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন ২০২২ সালের জন্য, যা দেশের আনুমানিক মোট দেশজ উৎপাদনের ২.৬ গুণ। বিশ্বব্যাংকের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট আনা বজেরদে বলেছেন, সর্বাধিক প্রত্যাশিত চাহিদাগুলো পরিবহনে, তারপরে আবাসন এবং বিদ্যুৎ। ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ‘কয়েক বছর সময় লাগবে’।
সূত্র: বাসস
ফরহাদ/অননিউজ