চলছে রমজান মাস। এই এক মাস রোজা রাখার রীতি রয়েছে ইসলামে। সারা দিন পানাহার থেকে বিরত থেকে সূর্যাস্তের পর ইফতার করা হয়। ইসলাম ধর্মের পরম্পরা অনুযায়ী সাধারণত ইফতারে খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা হয়।
কিন্তু জানেন কি, রোজা ভাঙতে কেন খাওয়া হয় খেজুর? খেজুরে রয়েছে কোন কোন পুষ্টিগুণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি প্রদান করে এবং খুব সহজেই হজম হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল।
পেটের রোগ হওয়া আটকায়
সারা দিন না খেয়ে থাকলে সন্ধ্যের সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। যার ফলে পেটের রোগ, হজমে গন্ডগোল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সারা দিন উপবাসের পরে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাও আটকায়। এতে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে অল্পেতেই পেট ভরা লাগে।
তাছাড়া, খেজুর আমাদের শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ভালো হয়।
অ্যাসিডিটি হতে দেয় না
সারা দিন খালি পেটে থাকার কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক অস্বস্তি কমায়।
খেজুর এনার্জি বাড়ায়
সারা দিন রোজা করে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এই সব গুণ। এ ছাড়া, খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় এনার্জি বজায় রাখে।
শরীর ডিটক্সিফাই করে
সারা দিন উপোস থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।
ফরহাদ/অননিউজ