আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে। গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক’ কর্মকাণ্ডের জন্য মামলা উপস্থাপনের পর আন্তর্জাতিক আদালত আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার উপস্থাপিত যুক্তি এবং ইসরায়েলের পাল্টা জবাব শুনবে।
আদালত এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আনীত আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘আইসিজে’ হেগের শান্তি প্রাসাদে ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও ১২ জানুয়ারি শুক্রবার গণশুনানি করবে। খবর এএফপি’র।
আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ইসরায়েলকে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান স্থগিত করার জন্য অবিলম্বে আদেশ দেয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনকে ইসরায়েল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে ইসরায়েল তাদের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন সম্পর্কিত গত শুক্রবার দাখিলকৃত দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল, জড়িত রয়েছে এবং বার বার এ ধরণের কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার আনীত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হায়াত এক্সে লিখেছেন: ‘আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ছড়ানো রক্তক্ষয়ের মানহানিকর অভিযোগ ইসরায়েল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল গাজা যুদ্ধে ‘তুলনাহীন নৈতিকতা’ প্রদর্শন করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যান্য জরুরি পদক্ষেপের মধ্যে আদালতের কাছে ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান স্থগিত করার এবং উভয় দেশকে ‘গণহত্যা প্রতিরোধকল্পে ক্ষমতার আওতায় থাকা সমস্ত যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়ার’ আবেদন করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের দক্ষিণে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে অবিরাম সামরিক অভিযান শুরু করে।
ইসরায়েলি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপি’র তথ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনির হামলায় প্রায় ১,১৪০ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের চলমান হামালায় গাজায় ২২,৩০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার তার যুক্তি উপস্থাপন করবে এবং ইসরায়েল শুক্রবার পাল্টা জবাব দেবে। জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধের বিষয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আইসিজে’র একটি রায় অনুসরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্থাপিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আইসিজে’র সিদ্ধান্তগুলো আইনত বাধ্যতামূলক, তবে আদালতের প্রয়োগ করার ক্ষমতা কম।
সূত্র : একুশে টেলিভিশন
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com