জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ২০২৫–২৬ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরিষা বীজ ও সার পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
কৃষকদের জন্য বরাদ্দ বিনামূল্যের ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে দেখেন—কৃষকদের বরাদ্দকৃত সার ও বীজ কয়েকজন ব্যবসায়ী কিনে রিকশায় করে বাইরে পাচার করছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন,
আমার অফিসের সামনে থেকে সার–বীজ বিক্রি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিতরণের আগে মাস্টাররোলে স্বাক্ষর নেওয়াও নিয়মবহির্ভূত।
কিন্তু ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন পলবান্ধা ইউনিয়নের উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব আলী। তিনি স্বীকার করে বলেন,
আমাদের সুবিধার্থে মাস্টাররোলে স্বাক্ষর/টিপসই নিয়ে পরে স্লিপ বিতরণ করি।
দুই কর্মকর্তার বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দিলে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এরই মধ্যে কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল তার অফিসের সামনে থেকেই একজন কালোবাজারিকে সার–বীজসহ হাতেনাতে আটক করেন। কিন্তু প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় যা নিয়ে আরও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এ বিষয়ে কথা হলে কৃষি কর্মকর্তা জানান,
এসিল্যান্ড স্যার আসছেন, তারপর বক্তব্য দেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন,বিষয়টি আমরা অবহিত হয়েছি। কালোবাজারিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি—প্রণোদনার সার ও বীজ যাতে প্রকৃত কৃষকের হাতে পৌঁছায় এবং কোনোভাবেই পাচার না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।