পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীর ভিড়। ঈদের দিনের মতো আজও মানুষ চিড়িয়াখানায় আসেন। সকাল ১০টার আগে থেকেই চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়ে। ঈদের দিন বৃষ্টির মধ্যেও লক্ষাধিক দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় যান। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এজন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। যদিও তারা বলছেন আগামী অর্থবছর থেকে ই-টিকেটিং করবেন তারা। এতে প্রবেশে দর্শনার্থীদের কমবে ভোগান্তি।
রোববার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় চিড়িয়াখানায় গণসংযোগ বিভাগের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে। ঈদে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে গণসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সর্বক্ষণিক থাকছে। যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রবেশ মুখে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিতের পাশাপাশি পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাঁশ দিয়ে ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় উল্লেখযোগ্য প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে ১৩টি বাঘ, সাতটি সিংহ, পাঁচটি হাতি, সাতটি জিরাফ, আটটি জেব্রা, ১৩টি জলহস্তী, দুটি ক্যাঙ্গারু, চারটি ভাল্লুক, তিনটি হায়েনা, এবং গণ্ডার আছে একটি। এ ছাড়াও চিড়িয়াখানার সঙ্গেই রয়েছে শিশুপার্ক। সেখানে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সকাল থেকেই চিড়িয়াখানার সামনে ভিড় থাকতে দেখা যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। বেলা বড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লাইন আরও দীর্ঘ হতে থাকে। টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়েও পরিবারের ছোট সদস্যদের নিয়ে অনেককেই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদসহ উৎসবকেন্দ্রিক চাপ এড়াতে ভবিষ্যতে টিকিটিং ব্যবস্থা অনলাইন করার পরিকল্পনা করেছে তারা। এ ছাড়াও প্রবেশ গেট নতুন করে করা হবে। পার্কিং সিস্টেমও নতুন করে হবে। এজন্য একটু সময় লাগবে। জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের গণসংযোগ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা বলেন, ঈদের দিন বিকেলে যে ভিড় ছিল, আজ সকাল থেকেই তার চেয়ে বেশি ভিড় হয়েছে। দর্শনার্থীরা আসছেন। তাদের নিরাপত্তায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
শান্ত/অননিউজ