উচ্চ আদালতের নিষ্পত্তি না হওয়ার পরও নাঙ্গলকোটে আদালতের রায়ের আগেই কলেজ কমিটির সংবর্ধনা সভাপতি ও অধ্যক্ষর ক্ষোভ
মো. রেজাউল করিম রাজু, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হোমনাবাদ আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আদালতের রায়ের আগেই এড. মো: শাহজাহান হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ কপি নিয়ে কলেজ হলরুমে গিয়ে কমিটি সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করেন। এতে কলেজ সভাপতি জাফর সাদিক ও অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এসময় তারা বলেন, হাইকোর্টর স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছি। এখনো কোর্ট কোন কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। পহেলা সেপ্টম্বর আদালত উভয়পক্ষকে ৬ সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ৭মে জাফর সাদিককে সভাপতি ও আবু ইউনূসকে বিদ্যুৎসায়ী করে একটি কমিটি অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর এডভোকেট মো: শাহজাহান ১৩ জুলাই মো: হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেখিয়ে আরেকটি কমিটি অনুমোদন আনেন। এতে বাধে বিপত্তি। এরপর আবারও গত ১৭ জুলাই জাফর সাদিককে সভাপতি ও এডভোকেট মোঃ শাহজাহানকে বিদ্যুৎসায়ী করে আরেকটি কমিটি অনুমোদন দেয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৪ আগস্ট এডভোকেট মোঃ শাহজাহান এ কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করলে আদালত ওই কমিটির উপর স্থগিতাদেশ দেন। ওই রিটের বিরুদ্ধে জাফর সাদিক হাইকোর্টে আবেদন করলে, উভয়পক্ষকে শুনানির জন্য হাইকোর্ট ২ জন বিচারপতিকে দিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ গঠন করেন। আগামী ৬ সপ্তাহর মধ্যে আদালত উভয়পক্ষের শুনানির দিন ধার্য করেন। এরমধ্যে তড়িঘড়ি করে বৃহস্পতিবার এডভোকেট মোঃ শাহজাহান কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি অসুস্থার কারণে হাসপাতলে ডাক্তার দেখানোর জন্য গিয়েছি। এ সুবাধে সাবেক সভাপতি এড. শাহাজান কলেজ হলরুমে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে কলেজের দ্বিতীয় তলার মূল ফটকের তালা ও অধ্যক্ষর অফিস কক্ষের তালা ভাঙ্গার কথা শুনেছি। একজন অধ্যক্ষ না থাকার সুবাধে কীভাবে সাবেক সভাপতি এডভোকেট মো: শাহজাহান লোকজন নিয়ে কলেজে জোরপুর্বক সংবর্ধনার অনুষ্ঠান একবারে নেক্কারজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ প্রসঙ্গে কলেজ সভাপতি জাফর সাদিক বলেন, আমাকে বিশ^বিদ্যালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সভাপতি ঘোষনা করে। এতে এড. শাহজাহান আমাদের কমিটি বাদ দেয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট তার পক্ষে কমিটির বিরুদ্ধে স্থাগিতাদেশ দিলে আমি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করি। এরপর সুপ্রিম কোটে চলতি মাসের পহেলা সেপ্টেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেয় আগামী ৬-৭ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পতি করবে। এখনো এড. শাহজাহান কোন রায় পায়নি, কিন্তু সে কীভাবে সভাপতি দাবী করে মব সৃষ্টি করে কলেজে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করে।
এবিষয়ে এডভোকেট মো: শাহজাহান বলেন, কমিটি নিয়ে আমি হাইকোর্টে রিট করলে স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর জাফর সাদিক হাইকোর্টের আদেশকে স্থগিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। পরে চেম্বার জর্জ শুনানি করে ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। ফুল বেঞ্চ ¯েøা অর্ডার করলো এবং এ মামলাটা নিষ্পত্তি হলো। এখন সভাপতি কে আপনি দেখেন? এই স্থগিত এর কপি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলার ও পরিদর্শকের নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আপিলের রায়ের কপি ৫-৬ দিনের মধ্যে হাতে পাবো।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার বলেন, হোমনাবাদ কলেজের বর্তমান সভাপতি জাফর সাদিক।
jn