নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড এ অবস্থিত এভারগ্রিন প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে পরচুলা চুরি করে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে থানা পুলিশ সুমি চৌধুরী নামে এক নারী কর্মীকে আটক করে। তার কাছ থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার পরচুলা উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সুমি চৌধুরীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সুমি চৌধুরীর বাড়ি দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার বিষ্ণুগঞ্জ গ্রামে সে মৃত মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ (ডাক্তার)মেয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে কিছু পরচুলা চুরি করে কোম্পানি থেকে বের হয়ে আসার সময় কোম্পানিটির নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে ধরা পড়ে সুমি চৌধুরী। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখে কোম্পানিতে। পরে তাকে নীলফামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ।
চোরাকারবারির অন্যতম সদস্য সুমি চৌধুরী গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে ভয়ংকর সব তথ্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক কর্মী জানিয়েছে নীলফামারী চোড়াইখলা ইউনিয়নে বাবড়িঝার বাজারের জলিল, আবু তালেব, কালচা ও কালারডাঙা এলাকার বাবুল এভারগ্রি ন প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি বাংলাদেশ লিমিটেড এ নারী কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় প্রতি কেজি পরচুলা কিনতেন তারপর এসব চুল বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে গড়ে ওঠা ছোট ছোট ক্যাশ কোম্পানিগুলোতে বিক্রি করতেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় । তথ্যদাতারা আরো জানায়, হাজারীতে ও রয়েছে চোরাকারবারের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট সেখানে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে মুকুল, বয়লার, বাদশা নামে ৩ ব্যক্তি । এদের ও পরচুলা দিয়ে পুতুল তৈরির কারখানা রয়েছে । এছাড়া সুমি চৌধুরী নীলফামারীর শখের বাজারের শফিকুল এর নিকট চোরাই পরচুলা বিক্রি করতো।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গ্রামে গঞ্জে গড়ে উঠা ক্যাশ কোম্পানিগুলো ই মূলত চোরাই পরচুলার ক্রেতা । তাদের তৈরিকৃত পণ্যে সাধারন চুলের সাথে চায়না কোম্পানির চুরি কৃত পরচুল গুলো বসিয়ে পণ্য তৈরি করেন। যা বাজার থেকে কিনতে অনেক কয়েক গুণ দাম বেশি পড়ে।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিকালে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।