গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে হামাস। জাবালিয়া-রাফাহসহ বিভিন্ন জায়গায়ও রকেট, ছোট অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
এরই মধ্যে রাফায় এক সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহতের খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার আতঙ্কে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শহরটিতে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা এবং সীমানা বন্ধ করে দেয়ায় ব্যাপক খাদ্য ও পানির সংকটে ভুগছে বাসিন্দারা।
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইসরায়েলের একটি পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়াজন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর আগে হামাসের বিরুদ্ধে নিরঙ্কুশ বিজয় সম্ভব নয় বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন।
তবে ইসরায়েল জোর দিয়ে বলছে, রাফা দখল এবং হামাসের শেষ অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে নির্মূল করা ছাড়া ‘বিজয় অর্জন’ অসম্ভব। কিন্তু জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে বলেছে, রাফাতে সর্বাত্মক হামলা হলে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং মানবিক বিপর্যয় প্রকট আকার নিতে পারে।
রাফায় হামলা শুরু করায় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক শীতলের কথা ভাবছে মিসর।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এফআর/অননিউজ